Posts

Showing posts from November, 2020

প্রচলিত বেশিরভাগ ধর্ম কল্পকাহিনী বা ফিকশননির্ভর

Image
  বেশিরভাগ বললাম এই কারণে যে, নাস্তিক্যবাদ নিজেও একটি ধর্ম। তবে এটি এখন পর্যন্ত সত্যতম ও সঠিকতম ধর্ম। নাস্তিক্যবাদ মানে ধর্মহীনতা বা নীতিহীনতা নয়, সত্যিকার একজন নাস্তিক অবশ্যই নীতিবান। ইসলাম, ক্রিশ্চিয়ানিটি, সনাতন, ইহুদীবাদ - এসকল ধর্ম ফিকশন বা কল্পকাহিনীনির্ভর, যার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই এবং বিজ্ঞান দ্বারা পুরোপুরি অসমর্থিত। মোহাম্মদের মিরাজ, তার অঙ্গুলি হেলনে চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হওয়া, যীশু ঈশ্বরের পুত্র হওয়া, মুসা ও তার অনুসারীদের নীলনদ পার হওয়া, ইব্রাহিমকে আগুনে নিক্ষেপ করা সত্ত্বেও কোনো ক্ষতি না ঘটা, আদমের বেহেশত থেকে বিতাড়িত হওয়া,  হনুমান কর্তৃক সম্পূর্ণ পাহাড় কাঁধে করে নিয়ে আসা - এর সবই ফিকশন বা কল্পকাহিনী। ভাগ্য ভালো যে, পৃথিবীর সব ফিকশন থেকে এক একটি ধর্মের উদ্ভব হয় নি। তা যদি হতো, তাহলে দেবতা জিউস ও তাঁর পুত্র হারকিউলিসের পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে পৃথিবীর বুকে হয়তো আরেকটি ধর্মের উদ্ভব ঘটতো, যে ধর্মের অনুসারীরা কাল্পনিক দেবতা জিউস এবং তাঁর মানবরূপী পূত্র হারকিউলিসকে পূজা করতো। শুধু তাই নয়, না জানি আরো কত শত ধর্মের উদ্ভব ঘটতো এই ধরণীর বুকে! সেটা হলে অবশ্য ভালো হতো। তাহলে ১৮০ কোটি মান

প্রকৃত পাপ বনাম অলীক পাপ

Image
 মানুষ হত্যা করা, কাউকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, নিরীহ কারো সাথে ধোঁকাবাজি করা, মানুষের মনে অকারণে কষ্ট দেওয়া, চুরি করা, ব্ল্যাকমেইল করে ঘুষ খাওয়া - এগুলো হলো প্রকৃত পাপ। এমন কোনো কর্মকাণ্ড করা যাতে তৃতীয় পক্ষের ক্ষতি হয়, সেটা হলো প্রকৃত পাপ।  কিন্তু সেক্স করা, হস্তমৈথুন করা, মদ খাওয়া, সুদ খাওয়া - এসব কর্মকাণ্ডে তৃতীয় পক্ষের ক্ষতি হয় না, আনলেস আপনি মদ খেয়ে গাড়ি চালান বা মাতলামি করে কারো বিরক্তির কারণ হচ্ছেন। তাই উল্লিখিত কর্মকাণ্ডগুলো প্রকৃত পাপ নয় (যেমনঃ আপনি আপনার সঙ্গীর সাথে সেক্স করলে এখানে তৃতীয় পক্ষের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না), এগুলো হলো অলীক পাপ । অর্থাৎ এগুলো পাপ না হওয়া সত্ত্বেও ধর্ম, সমাজ এগুলোকে 'পাপ' বানিয়ে রেখে দিয়েছে।  সমাজ মূলত চালায় মুরব্বীরা; তাঁরা নিজেরা যখন যৌবনে ছিলেন, তখন বিভিন্ন ধরনের ফূর্তি করেছেন। কিন্তু বয়স হওয়ার ফলে যেই না তাদের যৌনক্ষমতা কমে গেল এবং লিভারে পচঁন ধরায় মদ্যপানের ক্ষমতাও কমে গেল, তখন তারা ইয়াং জেনারেশনকে ফূর্তি করতে ও লাইফ এনজয় করতে দেবেন না - এমনটা বন্ধপরিকর হলেন। তখন তাঁরা ধর্মের দোহাই দিতে লাগলেন। প্রচলিত ধর্মগুলোর উদ্ভব হয়েছে অ

নাস্তিকদের শেষকৃত্য

Image
 যে কয়েকটি বিষয় দিয়ে আস্তিকরা, বিশেষ করে ইসলামী মোল্লারা নাস্তিকদেরকে নাস্তানাবুদ করতে চায়, তার মধ্যে একটি হলো - 'আপনি কি মরবেন না? তখন কি জাহান্নাম এড়াতে পারবেন? আপনার জানাজা পড়াবে কে? আপনাকে কি কবর দিতে হবে না? তখন তো ঠিকই হুজুরদেরকে লাগবে?' ইন ফ্যাক্ট, আমাকেও এ ধরনের কথা শুনতে হয়েছে এবং এখনও হয়। প্রতিবেশী এক ধর্মব্যবসায়ী আছে, তারা পারিবারিক সূত্রে এক মসজিদের মালিক। সেখানে আমি নামাজ পড়তে যাই না, তাই এ ধরনের কথা ঐ মসজিদের ইমাম তথা মালিকপক্ষের একজন এবং এলাকার লোকজনের কাছ থেকেও শুনতে হয়েছে আমাকে। আর আমার বউ তো অহরহ খোঁটা দেয় সেইম টাইপের কথাবার্তা বলে। সুতরাং বোঝা গেল, শেষকৃত্য ব্যাপারটা নাস্তিকদের জন্য একটি বিব্রতকর ইস্যু। তাই আমি বলি কী - 'লাগবে না আমাদের, নাস্তিকদের কোনোরূপ জানাজা বা লাস্ট রেসপেক্ট লাগবে না। চলুন, আমরা নাস্তিকরা সবাই আমাদের স্ব স্ব দেহ মরণোত্তর দান করে দেই। অথবা নাস্তিকদের জন্য আলাদা কবরস্থান বানাই, যেখানে লাশ সমাহিত করার জন্য বিশেষ কোনো রীতিনীতি বা আচারের প্রয়োজন হবে না। কেউ যদি মনে করে যে, তাকে মৃত্যুর পর এক কাপড়েই কবরে সমাহিত করা হোক, তবে তাই হবে।'

নাস্তিকদের সম্পর্কে জনগণের একটি ভুল ধারণা

Image
নাস্তিকদের সম্পর্কে জনগণের একটি ভুল ধারণা রয়েছে, আর সেটি হলো - যেহেতু নাস্তিকদের 'ঈমান' নেই, তাই তাদের কোনো বিবেকও নেই, তারা যা ইচ্ছা তা করতে পারে। আদতে ব্যাপারটা তা নয়; নাস্তিকরাও মানুষ, তারাও সামাজিক জীব। সমাজে ও রাষ্ট্রে অবস্থান করতে হলে অন্য সবার মতো তাদেরকেও কিছু নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়। সুতরাং নাস্তিকদের বিবেক নেই - এ কথাটি সত্য নয়। নাস্তিকরা খুবই ভয়ংকর এবং এদের বুক-পিঠ নেই, অর্থাৎ যেকোনো সময় যে কারো ভয়ংকর ক্ষতি করতে পারে - এটিও ভুল ধারণা। বরং সত্য হলো এই যে, নাস্তিকদের বিবেকের স্ট্যান্ডার্ড সাধারণের তুলনায় অনেক উপরে। সাধারণ মানুষ অর্থাৎ আস্তিকেরা যে লোভটা হয়তো সামলাতে পারবে না, একজন সত্যিকার নাস্তিক সেটাও সামলাতে পারবে। তবে কিছু মানুষ আছে, যারা আস্তিক না নাস্তিক তারা নিজেরাও জানে না। এরা সুবিধাবাদী, অর্থাৎ নিজেকে কখনো আস্তিক, কখনো নাস্তিক পরিচয় দেয়। যেমনঃ নিজের বোনের বিয়ে হবার আগ পর্যন্ত এরা চরমমাত্রায় নামাজি বা ধার্মিক। আর বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়া মাত্রই এরা স্বরূপে ফিরে যায়, অর্থাৎ নিজের স্বার্থের জন্য এরা তখন যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত, লাজ-শরমের মাথা খেয়ে হলেও।  এ ধরনের

প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরের ভূমিকা এইরূপ হতে পারে...

Image
ঈশ্বর যদি সব জীবের সৃষ্টির পেছনে থাকেন, তবে তিনি খুব সম্ভবত সেই সুদূর অতীতে এককোষী জীবকে সৃষ্টি করেছেন, বা তাঁর কারিশমায় সেটা সম্ভব হয়েছে। এরপর সেই এককোষী জীবকে বংশবিস্তার ও বিবর্তনের সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। ফলশ্রুতিতে সেই এককোষী জীব থেকেই লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের দ্বারা আজকেের দুনিয়ায় হাজার-হাজার, লক্ষ-লক্ষ প্রাণী ও উদ্ভিদের আবির্ভাব ঘটেছে। ঈশ্বর যদি এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে থাকেন, তবে তাঁর চিন্তাভাবনা এমন হওয়া উচিত নয় যে, তাঁর উপাসনা করলেই বেহেশত বা স্বর্গ পাওয়া যাবে, আর তাঁকে এড়িয়ে চললেই নরক। ঈশ্বর হয়তো হাজার হাজার জীবের উৎপত্তির পিছনে রয়েছেন, কিন্তু তিনি তাঁর সৃষ্টিগুলোকে ভালোবাসেন - এমনটা বলা যাবে না। কারণ দুনিয়াতে প্রতিটি জীবই প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বিপদ ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, ঈশ্বর এসে তাদেরকে 'উদ্ধার' করছেন না। ব্যাপারটা এমন যেন, ঈশ্বর মহাবিশ্ব ও প্রাণীকূল সৃষ্টি করে এখন কেবল তাদের তামাশা দেখছেন। এ ধরনের 'তামাশা দেখতে থাকা' ঈশ্বরের উপাসনা করার প্রয়োজন নেই, যদিও বা তিনি আদতে আমাদের অর্থাৎ মানবজাতির কাছ থেকে উপাসনা প্রত্যাশা করে থাকেন।

নাস্তিকতা আসলে কী?

Image
  নাস্তিকতা মানে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসহীনতা নয়, বরং সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে প্রচলিত মতবাদগুলোকে চ্যালেঞ্জ করার মানসিকতা। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ আবশ্যক, কারণ প্রচলিত ধর্মগুলো সব কম-বেশি মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। নাস্তিকতা মানে - 'ঈশ্বর একজন থাকতে পারেন, তবে তিনি ইসলামে বর্ণিত আল্লাহ নন, বা খ্রিস্টধর্মের যীশু নন, এছাড়া হিন্দু ধর্মের ভগবানও নন।'  ধর্মগুলো এই কারণে ভুয়া যে, সেগুলো মানব সম্প্রদায়ের কেবল বিগত ৫০০০ বছর বা ১০০০০ বছরের ইতিহাস পর্যলোচনা করে। কিন্তু বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, আধুনিক বুদ্ধিসম্পন্ন মানব জাতির ইতিহাস প্রায় ২ লক্ষ বছরের। এর আগেও মানুষ ছিল, তবে তারা অতটা বুদ্ধিসম্পন্ন ছিল না, তারা অনেকটা 'বন মানুষ' বা গরিলা টাইপের ছিল, বুদ্ধিশুদ্ধিও ঐ লেভেলের ছিল। ধর্মগুলো ভুয়া হওয়ার আরেকটি কারণ হলো - এরা এভোলুশন বা বিবর্তনবাদকে স্বীকার করে না। প্রচলিত ধর্মসমূহের মতে, মানুষকে ঈশ্বর বা ভগবান অলৌকিকভাবে সৃষ্টি করেছেন - যেটা আদতে সত্য নয়। মানুষ রাতারাতি বা অভারনাইটে সৃষ্টি হয় নি, যুগ যুগ ধরে প্রাণীর বিবর্তনের মাধ্যমে মানব সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ এখনো বিবর্তিত হচ্ছে, যার প্রমাণ